
পাবনায় ইছামতি নদী খননের মাটি নদীর দুইপাড়ের ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলী জমি ও বসতবাড়ি পাশে রাখায় ফসলী জমিসহ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকেরা ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিক্ষোভ মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন গয়েশপুর ও একদন্ত ইউনিয়নের নদীর দুই পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকেরা।
সোমবার (০৬অক্টোবর) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেছেন নদীর দুই পাড়ের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকেরা।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, পাবনায় ইছামতি নদী পূনরুজ্জীবিতকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে সেনাবাহিনীর কর্তৃক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী থেকে উত্তোলিত মাটি নদীর তীরে ব্যাক্তি মালিকানাধীন ফসলী জমি, ফলের বাগান ও বসতবাড়ির পাশে জোরপূর্বক রেখেছেন। দীর্ঘ সময় এই মাটি রাখায় একদিকে যেমন তিন ফসলের জমি নষ্ট করেছেন অন্যদিকে কয়েক হাজার মানুষের বসতবাড়ি নষ্ট হয়েছে। দীর্ঘ সময় ফসলী জমিতে মাটি রেখে সেই মাটি এখন বিক্রি করা হচ্ছে। নদী থেকে মাটি উত্তোলনের সময় একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আবার মাটি বিক্রির সময় পূণরায় ক্ষতি করা হচ্ছে কৃষক ও বসতীদের। তাই জেলা প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও সরকার প্রধানের নিকট নদী পাড়ের বৈধ জমির মালিক ও বসতীদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটি পূরণের জন্য প্রশাসনের নিকট আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা কৃষক দলের সভাপতি আবুল হাসেম, ভুক্তভোগী জমির মালিক আশরাফুল ইসলাম, মাহাবুবুর রহমান, মোঃ আব্দুল মজিদ, মোঃ আজহার আলী, মোঃ আব্দুল রশিদ, মোঃ শামসুল ইসলাম, মোঃ সলিম উদ্দিন প্রমুখ।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকরিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগী ভুমি মালিগণের প্রতিনিধিদের নিকট থেকে স্বারক লিপি গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ভূমির মালিকদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন।