পাবনায় ইছামতি নদীর পাড়ের ৪টি রেকর্ডধারী বৈধ বসতিদের জমি অধিগ্রহণপূর্বক ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন নদী পারের ক্ষতিগ্রস্থ বৈধ বসতি ও জমির মালিকেরা। ইছামিত নদী পারের পৌর এলাকার কয়েক হাজার পরিবারের নারী-পুরুষ এই বিক্ষোভ মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে পৌর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল স্বাধীনতা চত্বর থেকে এই বিক্ষোভ মিছলটি বের হয়। ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদর্ক্ষিণ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভ কারীরা।
এসময় নদী পারের ক্ষতিগ্রস্থ বসতিদের পক্ষে একত্বতা প্রকাশ করে বক্ত রাখেন, পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সদস্য সচিব এডভোকেট মাকসুদুর রহমান মাসুদ খন্দকার, যুগ্ন আহবায়ক আনিসুল হক বাবু, নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা, বৈধ বসতিদের স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিন্টু ও সাধারন সম্পাদক মোঃ আল মাসুদ রিজভী প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শত বছর ধরে পাবনা ইছামতি নদীর দুই পারে বৈধ জমি ক্রয় করে পৌর এলাকার কয়েক হাজার পরিবার বসবাস করে আসছেন। সরকারের নিয়ম মেনে খাজনা খারিজ দিয়ে আসছেন তারা। নদী পারের শতাধিক পরিবারের এই সকল জমি চারটি রেকর্ড অন্তভুক্ত। কিন্তু ইছামতি নদী পুনর্জীবিত খনন কাজ শুরু করলেও বৈধ বসতিদের জমি অধিগ্রহণ না করেই উচ্ছেদ করছেন প্রশাসন। আইনগত সমাধানের জন্য ক্ষতিগ্রস্থরা আদালতের শরানাপন্ন হওয়ার পরেও বসত ভিটা হারোনো আতঙ্গে তাদের দিন কাটছে। তাই নদী পাড়ের বৈধ বসতিদের অবৈধভাবে উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধসহ বৈধ জমির মালিক ও দাবিদারদের জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের দাবি করেন তারা। একই বর্তমান সরকার প্রধান ও সংশিষ্ঠ মন্ত্রণালয়সহ স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিষটি দ্রæত সমাধানের আবেদন করেন। যদি এই দাবি বাস্তবায়ন না করা হয় তবে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন তারা। বিক্ষোভ মিলি শেষে পথসভা পরবর্তীতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।
